Friday, September 15, 2017

সূর্য দীঘল বাড়ী - আবু ইসহাক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মাত্রই শেষ হয়েছে। মন্বন্তর পরবর্তী বিধ্বস্ত বাংলার জীবনযুদ্ধ শেষ হয়নি তবু। অন্যদিকে সমাজের কুসংস্কারাচ্ছন্নতা, পুরুষতান্ত্রিকতা এবং ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে সুবিধাবাদী শ্রেণী। এহেন পরিস্থিতিতে একজন নারীর জীবনসংগ্রাম ও সাংসারিক টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে “সূর্য-দীঘল বাড়ী”। ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত কালজয়ী এই উপন্যাসের স্রষ্টা সুসাহিত্যিক আবু ইসহাক। 

বাংলা ১৯৫০ সনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে অবিভুক্ত ভারতের বাংলায় ব্যাবসাসীদের কারসাজিতে 'পঞ্চাশের আকাল' নামে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তটে বহু লক্ষ দরিদ্র মানুষ প্রাণ হারায়। যারা কোনমতে শহরের লঙ্গরখানায় পাত পেতে বাঁচতে পেরেছিল তাদেরই একজন একালের সময় স্বামী পরিত্যক্ত জয়গুন। সঙ্গে তার মৃত প্রথম স্বামীর ঘরের ছেলে ও দ্বিতীয় স্বামীর গোরের মেয়ে। আরো আছে মৃত ভাইয়ের স্ত্রী-পুত্র। তারা গ্রামে ফিরে এসে এমন এক খন্ড জমিতে ঘর তৈরী করে যেটির অপয়া ভিতে বলে পরিচিতি ছিল। জীবনের যুদ্ধে যখন সে প্রানপন লড়ছে তখর তর প্রতি গায়ের মরলের দৃষ্টি পড়ে। দ্বিতীয় স্বামীও তাকে আবার ঘরে তুলতে চায়। সে কারো প্রস্তাবেই সে দেয় না। কিন্তু এ দুজনের সাক্ষাত ঘটে এবং মরল তার প্রতিযোগীকে হত্যা করে। ঘটনার একমাত্র দর্শক হিসেবে জয়্গুনকেও মূল্য দিতে হয় অন্যভাবে।
--এই কাহিনীর বিচিত্রতার মধ্যে মূল বিষয় একটিই; তা হচ্ছে কুসংস্কার, সম্পদ, ধর্ম, প্রতিপত্তি, সামাজিক বাধা-নিষেধ, এমনকি জাতীয়তাবোধ- এ সব কিছুকেই কাজে লাগিয়ে শ্রমজীবি ক্ষুধর্তো মানুষকে ক্রমাগত শোষণ।

!! বইটি ডাউনলোড করুন এখানে !!  
দারিদ্র, দুর্ভিক্ষ আঃর অস্তিত্বের সংকটে গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনে একই সাথে যেভাবে পরিবার, মাতৃত্ব, ভালোবাসার বিষয়গুলোও যে প্রধান হয়ে ওঠে তারই মিথষ্ক্রিয়া ঘটেছে এই উপন্যাসে।

Read more at: http://www.amarboi.com/2015/07/surja-dighal-bari-by-abu-eshaq.html


দারিদ্র, দুর্ভিক্ষ আঃর অস্তিত্বের সংকটে গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনে একই সাথে যেভাবে পরিবার, মাতৃত্ব, ভালোবাসার বিষয়গুলোও যে প্রধান হয়ে ওঠে তারই মিথষ্ক্রিয়া ঘটেছে এই উপন্যাসে।

Read more at: http://www.amarboi.com/2015/07/surja-dighal-bari-by-abu-eshaq.html